ভবিষ্যত পৃথিবীতে যোগ্য নারী নের্তৃত্ব তৈরির লক্ষে উইমেন লিডার্স দুই দিন ব্যাপী এক ভার্চুয়াল প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে । যেখানে নারী নের্তৃত্বের বিভিন্ন বিষয় আলোচনা করা হয় ।
কোভিড-১৯ এর মতো মহামারি অবস্থায় গত ৭ ও ৮ এপ্রিল ২০২১ দুইদিন ব্যাপী পিস অ্যাম্বাসিডর ও স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে উইমেন লিডার্স।
কর্মশালার আলোচক হিসেবে ছিলেন – ড. মোতাহার আকন্দ, হিউম্যান রাইটস, জেন্ডার এন্ড ট্রেইনিং স্পেশালিস্ট এবং সানাইয়া ফাহিম আনসারি, নেটওয়ার্ক ফর রিসার্চ এন্ড ট্রেইনিং এন্ড কনসালটেন্ট, আহা ( AHA) প্রজেক্ট । আরো উপস্থিত ছিলেন চন্দ্র ত্রিপুরা, ফাউন্ডার এন্ড ডিরেক্টর, হিল রিসোর্স সেন্টার এবং প্রকল্প পরিচালক জনাব মো. বাকীবিল্লাহ।
প্রথম দিন আলোচনায় ড. মোতাহার আকন্দ লিডারশিপ নিয়ে আলোচনা করেছেন। যেখানে তিনি উল্লেখ করেন লিডারশীপের ক্ষেত্রে- ‘বুদ্ধিমত্তা, কল্পনাশক্তি ও কাণ্ডজ্ঞান’ এই তিনটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও তিনি প্রবলেম সলভিং, বিশ্লেষণী দক্ষতা, সিদ্ধান্ত গ্রহণ, পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা, সাংগঠনিক ও যোগাযোগ দক্ষতা বিষয়ে আলোচনা করেন।
দ্বিতীয় দিন আলোচক সানাইয়া ফাহিম আনসারি ও চন্দ্র ত্রিপুরা নারীদের বিভিন্ন আইন, নীতি এবং নানান ইস্যু সংক্রান্ত বিধিবিধান নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং আলোচকগণ অনলাইন ক্যাম্পেইন সম্পর্কে আলোচনা করেন ।
প্রকল্প পরিচালক জনাব মো. বাকীবিল্লাহ বলেন, শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়তে নারী নেতৃত্ব অত্যন্ত জরুরি। উইমেন লিডার্স এর নারীরাই আগামী স্বপ্নময় পৃথিবী গড়তে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। এই ধরনের কর্মশালার মধ্য দিয়ে জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে তারা আরো বেশি নেতৃত্বকে বিকশিত করতে পারবে।
এছাড়াও দুই দিন ব্যাপী এই কর্মশালায় মাহামারিতে বেড়ে যাওয়া নারীর প্রতি সহিংসতা নিয়ে আলোচনা হয় ।
আলোচকরা বলেন, এই অবস্থায় সমাজের মানুষের মাঝে সহিষ্ণুতা ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে নারী নেতৃত্বের বিকাশ জরুরি হয়ে পড়েছে এবং লকডাউনে নারীদের জীবন সুন্দর হওয়া শুধু নয় নারী জীবন বদলানোর যথাযোগ্য চেতনায় উদ্বুদ্ধ করা প্রয়োজন।
কর্মশালায় উপস্থাপক হিসেবে ছিলেন প্রবীণ ত্রিপুরার এবং সার্বিক তত্ত্বাবধানে প্রকল্প পরিচালক মো. বাকীবিল্লাহ ।
উল্লেখ্য, নারী নেতৃত্বের বিকাশ ও নারীর জীবনের নানাবিধ প্রতিকূলতা- নারী সহিংসতা, বিদ্বেষমূলক কথাবার্তা, লিঙ্গ বৈষম্যসহ সমাজে চলমান প্রভৃতি অসমতা বিষয়াবলীর নিরসনে “উইমেন লিডার্স “প্রজেক্ট সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। যেখানে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ জন নারী শিক্ষার্থী ও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ২০ জন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছে ।