শনিবার দুপুরে গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদকের বাড়ি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় হাসান আলী নামে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মৃত ব্যক্তি শহরের গোরস্থান পাড়ার বাসিন্দা । এ ঘটনায় হত্যাকান্ডের অভিযোগে উক্ত আওয়ামী লীগ নেতা মাসুদ রানাকে বাড়ি থেকে আটক করেছে গাইবান্ধা সদর থানা পুলিশ।
পাওনা টাকার সুদের কিস্তি না দেয়ায় টানা এক মাস ওই ব্যবসায়ীকে মাসুদ রানার বাড়িতে জোরপূর্বক আটকে রাখা হয় বলে নিহতের স্ত্রী বিথী বেগমের সদর থানায় অভিযোগ করেন বলে জানা গেছে।
হাসান আলীর স্ত্রী গত ৭ মার্চ থানায় এক লিখিত অভিযোগে জানায়, মাসুদ রানা একজন দাদন ব্যবসায়ি। তার কাছ থেকে ঋণ নেয়া টাকার সুদের কিস্তি দিতে না পারায় গত ৬ মার্চ হাসান আলীকে সকাল ৯টায় তার গোড়স্থান পাড়ার বাসা থেকে মাসুদ রানা ব্যবসা সংক্রান্ত কথা আছে বলে নিজ মোটরসাইকেলে করে তুলে নিয়ে চলে যায়।
এরপর মাসুদ রানা তার নিজ বাসায় হাসানকে আটকে রাখে মানসিকভাবে নানা ধরণের নির্যাতন চালায় এবং ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে। হাসান আলী তার স্ত্রী বিথী বেগমকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি অবহিত করলে ওই বাড়ি থেকে সে তার স্বামীকে নানাভাবে উদ্ধারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।
কাল তার মৃতদেহ ফাঁসিতে ঝুলানো অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। এব্যাপারে হাসান আলীর স্ত্রী বিথি বেগম ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, হাসান আলীকে হত্যা করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এ হত্যার ঘটনাটি শহরে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
এ ব্যাপারে এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, হাসান আলী আত্মহত্যা করলে তার নিজ বাড়িতে করবে। মাসুদ রানার বাড়িতে হাসান আলী কেন আত্মহত্যা করবে? এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
গাইবান্ধা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আওয়ামীলীগ নেতা মাসুদ রানাকে আটক করা হয়েছে এবং মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।