আমাদের দেশের ইয়াং জেনারেশনের কাছে পশ্চিমা বিশ্বের কালচার সম্পর্কে যা ধারণা তা অনেকাংশেই ভুল। এমনকি এখানে এসেও যারা শিখে ব্যাহ্যিক টাই তাল মিলানোর জন্য শিখে বলে আমার মনে হয়। তাদের মূল থিমটা শিখে না।
যেমন ধরেন মেয়েদের পোশাক-পরিচ্ছদ খোলামেলা হওয়া। ছেলেদের ক্ষেত্রে চুলটুল কালার করা। এসবকে একটু ওয়েস্টার্ণ মনে করা হয় আমাদের দেশে।
মানে এইসব করার মাধ্যমে পোলাপান একটু নিজেরে মডার্ন হিসেবে শো অপ করতে চায়। আর এরকম টাইপের ছেলেমেয়েগুলো দেখবেন এসবের কারনে মনের মধ্যে অহংকার চাপায় রাখে।
কথায় কথায় অন্যরা ক্ষেত। আর এসব মেয়েরা তো বিশাল বড় স্বাধীনতাবাদী দাবি করে নিজেদের। শরীর দেখানোকে মনে করে “সৌন্দর্য তাদের অধিকার”।
অথচ জার্মানিতে আসার পর দেখলাম পোশাক-পরিচ্ছদ এটা তাদের স্বাভাবিক চাল-চলনের অংশ। কে কি পরলো কি সাজলো এটা এতো কেয়ার করেনা।
রাস্তায় চলার সময় দেখবেন চুল টুল কালার করে বা উদ্ভট কোন সং সেজে কেউ হাঁটছে। বাংলাদেশের সং দের সাথে মিলালে মনে হবে অনেক উগ্র হইতে পারে বখাটে টাইপের কিছু। কিন্তু না! কথা বললে দেখবেন অসম্ভব বিনয়ী-ভদ্র। মানে সে যা পরছে যা করছে এমন না যে, অহংকার দেখানোর জন্য করছে। শুধুই তার নিজের প্রশান্তির জন্য পরছে।
বর্তমানে আমার বাসায় এক জার্মান কাপল থাকে। মাঝেমধ্যে কিচেনে আসলে তাদের সাথে আলাপচারিতা হয়। একদিন মেয়েটাকে জিগ্যেস করলাম, তোমাদের পোশাকের কালচার আসলে কি? সে বললো যেটা পরতে কম্পোর্টেবল সেটাই পরা উচিৎ।
আর যেটা ছোটবেলা থেকে অভ্যস্ত হয়ে আসছে সেরকমই আমি পরি। বাট তার মনের মধ্যে অহংকার ঘৃনা আমি দেখলাম না। বাড়তি কোন মূল্যায়ন নাই এ নিয়ে।
এছাড়া জার্মান ইয়াং ছেলে-মেয়েরা রাতে এগারোটার মধ্যে ঘুমাই পড়ে। এটা একদম সবাই। সব জার্মানরাই এরকম। সকালে খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে।
সোস্যাল মিডিয়ার প্রতি এরা মোটেই এডিক্টেট না। ফেইসবুক একাউন্ট ও নাই অনেকের। যোগাযোগের জন্য হোয়াটসএপ টা ব্যবহার করে।
অথচ আমাদের মডার্ন হতে চাওয়া জেনারেশন এসবের উল্টো। রাত জাগা আর সকালে দেরীতে উঠা আমাদের আধুনিকতার প্যারামিটার।
নাকি জাতি হিসেবেই আমাদের মধ্যে পজিটিভ টা গ্রহন করার মানসিকতা কম?
[পাটোয়ারী রায়হান-এর ফেইসবুক থেকে]