নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় আরও দুইজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে উপজেলার একলাশপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মোহাম্মদ সোহাগ (২২) ও নুর হোসেন ওরফে রাসেল (৩২)। এ নিয়ে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করা হলো। এদের মধ্যে চারজন এজাহারভুক্ত আসামি এবং চারজন এজাহার বহির্ভূত।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ চৌধুরী জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় গত সোমবার থেকে আসামি মো. রহিম ও রহমত উল্যা তিন দিন করে মোট ছয় দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। এ ছাড়া মামলায় প্রধান আসামি বাদল দুটি মামলায় সাত দিন এবং একলাশপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন ওরফে সোহাগ একটি মামলায় তিন দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে নোয়াখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের (৩ নম্বর আমলি আদালত) বিচারক মাসফিকুল হক এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ওসি জানান, রিমান্ডে থাকা আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় নূর হোসেন রাসেল ও সোহাগের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। এ জন্য তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে বর্বরোচিত এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। ৪ অক্টোবর ওই ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। ঘটনার ৩২ দিন পর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ও পর্নোগ্রাফি আইনে পৃথক দুটি মামলা হয়। দুই মামলায় ৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।