শ্রদ্ধায়-ভালোবাসায় এম. কামালউদ্দিন চৌধুরীকে বিদায় জানালো সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি
শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় সাউথ এশিয়া ফাউন্ডেশনের বোর্ড অফ গভর্নরস্ এবং সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সম্মানিত সদস্য মরহুম এম. কামালউদ্দিন চৌধুরীকে বিদায় জানালো সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি পরিবার।
মরহুমের প্রথম নামাযে জানাযা ৯ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাস প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়। জানাযায় সাউথইস্ট পরিবারের সকল সদস্য অংশগ্রহণ করে মহরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। এম. কামালউদ্দিন চৌধুরী গত ৮ জানুয়ারী ২০২৫ তারিখ ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।
এম. কামালউদ্দিন চৌধুরী এক বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের অধিকারী ছিলেন। তিনি ১৯৪২ সালে চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৩ সালে তৎকালীন হাবিব ব্যাংক লিমিটেডে শিক্ষানবিস কর্মকর্তা হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করে সেখানে ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
পরবর্তীতে ১৯৮৯ সালে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড এ যোগদান করে প্রায় এক যুগেরও বেশী সময় কর্মরত থেকে সর্বশেষ ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে অবসর নেন। ইসলামী ব্যাংক থেকে অবসর গ্রহণের পর তিনি ইসলামিক কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের স্বতন্ত্র পরিচালক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি ও শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়া তিনি আহসানিয়া মিশন ক্যান্সার অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতাল ও হজ ফাইন্যান্সের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে মৃত্যু পর্যন্ত এর ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।
এম. কামালউদ্দিন চৌধুরী মৃত্যু সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি পারিবারের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্ব, অটল নিষ্ঠা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে অমূল্য অবদান সর্বদা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদান এবং ভবিষ্যত প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
এই শোকের সময়ে সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি তার পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং প্রিয়জনদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছে। তাঁর সেবা, নম্রতা এবং আদর্শ নেতৃত্ব আমাদের সকলকে অনুপ্রাণিত করে চলবে। তাঁর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন অব প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিজ অব বাংলাদেশ (এপিইউবি)