বালুমহাল বন্ধের দাবিতে কামারজানিতে বিক্ষোভ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানী মৌজার আবাদি-অনাবাদি ভূমি বালি মহাল ঘোষনা করায় তা স্থগিতের দাবীতে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ ও আলোচনা সভা আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয়।
কামারজানী একটি অতিমাত্রায় বন্যা ও দূর্যোগ প্রবন এলাকা। এই বালি মহাল বাস্তবায়ন হলে একদিকে চাষাবাদে উৎপাদিত ফসলি ভূমি নষ্ট হবে এবং নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করে কামারজানী, গিদারী, মালিবাড়িসহ অন্যান্য এলাকা নদীগর্ভে বিলীনের আশঙ্কা রয়েছে।
সচেতন মহল বলেন, বিগত সময়ে রাজনৈতিক সুবিধাভোগী চক্র তাদের স্বার্থের কারনে এই বালু মহালের প্রক্রিয়া করেছে যা জেলা প্রশাসন বিস্তারিত তথ্য না নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করায় এলাকাবাসীর অপূরনীয় ক্ষতি সাধিত হবে।
তাই কালবিলম্ব না করে দ্রুত সময়ে কামারজানী মৌজার ঘোষিত বালু মহালের সকল প্রকার কার্যক্রম স্থগিতের দাবী জানান।
গাইবান্ধা সদর উপজেলাধীন কামারজানী ইউনিয়নস্থিত মৌজা-কামারজানী জে,এল নং ১২২ চাষাবাদ ও আবাদভূমি, তৎসংলগ্ন সরকারের গুচ্ছগ্রাম-এনজিওর আশ্রায়ন, জনবসতিপূর্ন চরাঞ্চল এবং নদী ভাঙন তীরবর্তী এলাকাসহ নিকটবর্ত্তী বাণিজ্যিক বন্দর থাকা সত্ত্বেও বালি মহাল ঘোষনা করায় তা পরিবেশগত এবং প্রাকৃতিক প্রভাব বিস্তারে জনস্বার্থ বিঘ্নিত হবে।
বিক্ষোভ ও আলোচনায় বক্তব্য রাখেন,কামারজানীর ব্যবসায়ী মো. জহুরুল ইসলাম,মো. সোলাইমান ইসলাম মাস্টার, মো.আফছার আলী, সমাজসেবক মো. মাজু আহমেদ, উন্নয়ন সংগঠক এম সাদ্দাম হোসেন পবন, আবু তালেব আকন্দ, আন্দোলনের সমন্বয়ক ব্যবসায়ী ইকবাল হোসেন, মোকছেদুর রহমান সুজন,কামরুজ্জামান হাসান পাপুল,এমদাদুল হক জোতদার, মো. রঞ্জু মিয়াসহ অনেক সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ, রাজনৈতিক নেতা,গন্যমান্য ব্যক্তিগন।
বক্তারা,অবিলম্বে কামারজানী মৌজার ঘোষিত বালি মহালের সব ধরনের কার্যক্রম স্থগিতের দাবি জানান।