কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করেছে সরকার। বৃহস্পতিবার দুপুরে এক ভার্চুয়াল সভা শেষে এ দাম ঘোষণা করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। এতে দেখা গেছে গতবারের চেয়ে এবার গরুর চামড়ায় প্রতি বর্গফুটে ৫ টাকা আর ছাগলের চামড়ায় ২ টাকা বেড়েছে।
বৈঠকের শুরুতে বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ এ বছর ২০১৮ সালের মত ঢাকার জন্য লবণযুক্ত কাঁচা চামড়ার দাম গরুর প্রতি বর্গফুট ৫০ থেকে ৫৫ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা নির্ধারণ করার প্রস্তাব করেন। এ ছাড়া প্রতি বর্গফুট খাসির চামড়া ২০ থেকে ২২ টাকা, বকরির চামড়া ১৫ থেকে ১৭ টাকার প্রস্তাব করা হয়।
তবে এই দাম নিয়ে দ্বিমত প্রকাশ করেন বৈঠকে উপস্থিত থাকা চামড়ামালিকেরা। তারা গত বছরে যে দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল, তার চেয়ে ৫ টাকা দাম বাড়ানোর দাবি করেন।
পরে বৈঠকের শেষ দিকে অনেক আলোচনার পর ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে গত বছরের চেয়ে গরুর চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট ৫ টাকা বাড়িয়ে ও খাসির চামড়ার দাম ২ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ঘোষণা করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, ঢাকায় লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। গত বছর যা ছিল ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। একই চামড়া ঢাকার বাইরে প্রতি বর্গফুট ৩৩ থেকে ৩৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে; গত বছর যা ছিল ২৮ থেকে ৩২ টাকা।
এছাড়া সারাদেশে খাসির চামড়া প্রতি বর্গফুট ১৫ থেকে ১৭ টাকা; গত বছর যা ছিল ১৩ থেকে ১৫ টাকা। পাশাপাশি প্রতি বর্গফুট বকরির চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ থেকে ১৪ টাকা, গত বছর যা ছিল ১০ থেকে ১২ টাকা।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গতবছর এক্সপোর্ট ট্রেডটা ভালোই হয়েছে। সবদিকে প্ল্যান করেই এগোতে হবে। সবার একটাই ইচ্ছা যেন চামড়ার ন্যায্য মূল্য পায়। আমরা ওয়েট-ব্লু চামড়া রফতানির অনুমতি দিয়েছি, এটি খুব একটা স্বস্তির নয়। যেহেতু দেশে দাম পাওয়া যাচ্ছে না তাই রফতানির অনুমতি দিয়েছি। এটা স্থায়ী হোক সেটা আমি চাই না। এবার সব পক্ষকে সঙ্গে নিয়ে চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।’
এ সময় ব্যবসায়ীরা কোরবানির পরপরই দ্রুত চামড়ায় লবণে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করার তাগিদ দিলে কোরবানির ৬ ঘণ্টার মধ্যে চামড়ায় পর্যাপ্ত লবণ দেয়ার জন্য বলেন মন্ত্রী।
এ বছর লবণ ছাড়া চামড়ার দাম নিয়ে আলোচনা হয়নি। বরং কোরবানি দাতা হতে শুরু করে মসজিদ ও এতিমখানা যেখানে চামড়া মজুদ করা হয়, সেখান থেকেই চামড়ায় লবণ দেওয়ার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
সভায় শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা, বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সভাপতি শাহীন আহমেদসহ ব্যবসায়ী নেতারা বক্তব্য দেন।