কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষক সমাজে’র আহ্বান
৭ জানুয়ারি ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে দেশবাসীর কাছে খোলা চিঠি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষক সমাজ। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থাকার পরিপ্রেক্ষিতে এবং দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার ধারা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে এই আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
খোলা চিঠিতে বলা হয়, ‘‘মাত্র কিছুদিন আগেই বাংলাদেশ নামক ভূ-খণ্ডটি তার বিজয়ের ৫৩তম দিবস উৎযাপন করেছে। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, অবিসংবাদিত নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে ৩০ লক্ষ শহীদ, ২ লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক নানা প্রতিবন্ধকতা ও ষড়যন্ত্রের মুখেও দেশটি সামগ্রিকভাবে অর্থনীতিতে প্রভূত উন্নতি সাধন করেছে।
বিশেষ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার বিগত তিন মেয়াদে দেশবাসীর অকুন্ঠ সমর্থন নিয়ে দেশটিকে সুন্দরভাবে পরিচালিত করেছে। যা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার বিভিন্ন ইনডেক্স রিপোর্টে বহুল প্রশংসিত হয়েছে।
এছাড়াও বিগত বছরগুলোতে পরিকল্পনা মাফিক বিভিন্ন মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়িত হয়েছে। আর এর সুবিধা দেশবাসী ইতোমধ্যে পাওয়া শুরু করেছে। বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার মুখেও শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রকৌশল, ব্যবসা বাণিজ্য ও পররাষ্ট্রনীতিতে বাংলাদেশের সাফল্য ঈর্ষণীয়। এছাড়াও করোনা মহামারীকে বর্তমান সরকার অত্যন্ত সফলতার সাথে মোকাবেলা করেছে, যা বিশ্বের প্রতিটি দেশে প্রশংসিত হয়েছে।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আগামী ৭ জানুয়ারি জনগণ একটি উৎসবমুখর পরিবেশে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে মহান জাতীয় সংসদে তাদের প্রতিনিধি প্রেরণ করবেন, যা গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার অন্যতম একটি অংশ।
একটি স্বাধীন নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবেই এই বিশাল কর্মযজ্ঞটি সম্পাদন করার সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করছেন। প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার মাধ্যমে জনগণ প্রতিনিয়ত কমিশন কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন ব্যবস্থা অবলোকন করছেন, যা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিচায়ক।
বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান অনেক সংবেদনশীল। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখা তথা বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার যে স্বপ্ন এদেশের জনগণকে দেখেছে, তা বাস্তবায়ন করতে একটি নির্বাচিত সরকার ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা পরিবেশ প্রয়োজন। বিগত সময়ে যা বাংলাদেশের প্রতিটি সচেতন নাগরিক উপলদ্ধি করেছেন।
বর্তমান সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে অপরাপর রাজনৈতিক দলগুলোর ধ্বংসাত্মক রাজনৈতিক কর্মসূচী পরিহার করে নির্বাচন কমিশনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে নির্বাচনমুখী হওয়া বাঞ্চনীয় ছিল। তা না করে কিছু রাজনৈতিক দল অগ্নিসংযোগ ও হত্যার পথ বেছে নিয়েছে। তারা নির্বাচন কমিশনকে অসহযোগিতা তথা সর্বোপরি জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত আছে, যা সাধারণ জনগণের কাছে নিন্দনীয়। তাদের এ বিধ্বংসী রাজনীতি সাধারণ জনগণকে হতাশ ও ক্ষুব্ধ করেছেন।
তাই সংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থাকার প্রেক্ষিতে এবং দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার ধারা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষক সমাজ দেশবাসীকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট প্রদান করার আহ্বান জানিয়েছেন।’’
সতেরো কোটি জনগণের ভাগ্য বিনির্মাণে সচেতন প্রতিটি নাগরিক আসন্ন ৭ই জানুয়ারী নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে দেশ বিদেশে বাংলাদেশকে নিয়ে যে ষড়যন্ত্র চলছে তার সমুচিত জবাব দিবে বলে তারা প্রত্যাশা করেন।