পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে সবকটি ফেরি চলাচলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ঘরমুখো মানুষ ও পরিবহন শ্রমিকদের দুর্ভোগ লাঘবে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আজ বিকেলে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা অঞ্চলের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. জিল্লুর রহমান জানান, ঘরমুখো মানুষ ও পরিবহন শ্রমিকদের দুর্ভোগ লাঘবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরির সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, প্রয়োজন হলে সবকটি ফেরি চলাচল করবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পযর্ন্ত এই পারাপার অব্যাহত থাকবে।
সরকারি বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে প্রিয়জনদের সাথে ঈদ করতে বাড়ি যাচ্ছে মানুষ।গত কয়েক দিনের তুলনায় সোমবার মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাটে ঘরমুখো মানুষের চাপ ছিল সবচেয়ে বেশি।
লাশ অথবা রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে হুড়োহুড়ি করে ফেরিতে পারাপার হচ্ছেন তারা। অ্যাম্বুলেন্স না আসা পযর্ন্ত কোনো ফেরি না চলায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকতে হচ্ছে যাত্রীদের। প্রচণ্ড রোদ ও গরমে নারী-শিশু যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে।
একই সঙ্গে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পণ্যবাহী যানবাহনের শ্রমিকদের। কারণ রাত ছাড়া তারা ঘাট পার হতে পারছেন না। এই অবস্থায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরির সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য যে, গত কয়েকদিন ধরে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে রাতের বেলা জরুরি মালামাল বোঝাই যানবাহন পারাপারের জন্য সবকটি ফেরি চলাচল করলেও দিনের বেলা বড় ফেরি বন্ধ থাকছে। দিনে শুধুমাত্র ছোট ফেরি দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স পারাপার করা হয়।