মিউনিখের আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় মঙ্গলবার রাতে ‘এফ’ গ্রুপের ম্যাচে ১-০ জিতেছে গতবারের রানার্সআপরা। ইউরোয় এই প্রথম নিজেদের প্রথম ম্যাচে হারল জার্মানি।
দুই হেভিওয়েটের লড়াই। এমন এক ম্যাচে দুর্ভাগ্য ভর করল জার্মানির ওপর। আত্মঘাতী এক গোলে ম্যাচের শুরুর দিকেই পিছিয়ে পড়ে তারা, যে গোলেই শেষ পর্যন্ত হয়েছে সর্বনাশ।
আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে শুরু থেকেই জমে উঠে ম্যাচ। ১৭ মিনিটে প্রথম ভালো সুযোগটা এসেছিল ফ্রান্সের। বক্সের বাঁ দিক থেকে নেয়া কিলিয়ান এমবাপের শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন ম্যানুয়েল ন্যুয়ার।
ম্যাচের প্রায় ৬০ শতাংশ সময় বল দখলে রাখা জার্মানি তুলনামূলক আক্রমণও বেশি করেছে। তবে তার খুব কমই প্রতিপক্ষ শিবিরে ভীতি ছড়াতে পেরেছে। গোলের উদ্দেশে শট নেওয়ার বিচারে অবশ্য তারা অনেক এগিয়ে, ১০টি। যদিও এর মাত্র একটি শটই ছিল লক্ষ্যে। বিপরীতে, ফরাসিদের নেওয়া চার শটেরও কেবল একটি ছিল লক্ষ্যে।
তার মাঝেই ২০তম মিনিটে চরম ভুলটি করে বসেন হুমেলস। পল পগবার দারুণ ক্রস ডি-বক্সে পেয়ে গোলমুখে কিলিয়ান এমবাপের উদ্দেশে বল বাড়ান লুকা এরনঁদেজ। বিপদমুক্ত করতে ক্রসবারের ওপর দিয়ে বল পাঠানোর চেষ্টা করেন ডিফেন্ডার হুমেলস; কিন্তু বল চলে যায় জালে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে দুই দলই সুযোগ নষ্ট করে। ৫১তম মিনিটে আদ্রিওঁ রাবিওর শট পোস্টের বাইরের দিকে লাগে। দুই মিনিট পর জিনাব্রির জোরালো শট ক্রসবার ঘেঁষে বাইরে যায়।
এমবাপে ৬৬তম মিনিটে বাঁকানো শটে জালে বল পাঠিয়েছিলেন; কিন্তু বল রিসিভ করার মুহূর্তে অফসাইডে ছিলেন তিনি। শেষ দিকে করিম বেনজেমাও লক্ষ্যভেদ করেন, তবে ভিএআরে সাহায্যে অফসাইডের বাঁশি বাজান রেফারি।
৮৫ মিনিটে আরও একবার বল জালে জড়ায় ফ্রান্স। পগবার থ্রো বলে গোলরক্ষককে একা পেয়ে গিয়েছিলেন এমবাপে আর করিম বেনজেমা। এমবাপের ক্রসে চমৎকার ফিনিশিং গোল করেন বেনজেমা। কিন্তু অফসাইডের কারণে সেটি বাতিল হয়ে যায়।
এরপর গোল শোধে মরিয়া জার্মানি কয়েকটি আক্রমণ করেছে। কিন্তু ফরাসি রক্ষণ ভেদ করতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ঘরের মাঠ মিউনিখে নিজেদের দর্শকদের সামনে ১-০ গোলের হারই হয়েছে তাদের সঙ্গী।
মূল্যবান তিনটি পয়েন্ট নিয়ে ফরাসিরা হাসিুমখে মাঠ ছেড়েছে বটে, তবে পারফরম্যান্সের উন্নতি না হলে সামনের পথচলায় ভুগতে হতে পারে দলটিকে। আর জার্মানদের জন্য তো আরও বেশি চিন্তার। ‘মৃত্যুকূপ’-এর সেরা দুই দলের একটি হয়ে পরের রাউন্ডে উঠতে শেষ দুই ম্যাচে যে জিততেই হবে তাদের।