সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে টসে জিতে বাংলাদেশকে ১৯৪ রানের টার্গেট দেয় জিম্বাবুয়ে। টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে রেজিস চাকাভা ও ওয়েসলি মাধেভেরের পর রায়ান বার্লের শেষের ঝড়ে ১৯৩ রান সংগ্রহ করে স্বাগতিকরা। ১৫ বলে ৩১ রান করে অপরাজিত ছিলেন বার্ল। চাকাভা ৪৮ ও ওয়েসলি মাধেভেরে করেন ৫৪ রান।
বাংলাদেশের শুরুটা ও ছিল চমৎকার।মাঠে নেমেই দুরদান্ত ব্যাটিং করেন সৌম্য সরকার। মাঝে তাকে যোগ্য সহায়তা দেন বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ১৩ বলে ২৫ রান করে সাকিব ফিরলেও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে সঙ্গী হিসেবে পান সৌম্য । তার সঙ্গে ৬৬ রানের জুটিতেই জয়ের ভিত পায় বাংলাদেশ। ৬৮ রান করে ফেরেন সৌম্য। পরে মাহমুদুল্লাহ সঙ্গে জুটি গড়েন শামীম পাটোয়ারী। ৩৪ করে রিয়াদ ফিরলেও দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তরুন শামীম। তার ১৫ বলে অপরাজিত ৩১ রানের ইনিংসে জিম্বাবুয়েকে পাঁচ উইকেটে হারিয়ে ২-১ ব্যবধনে সিরিজ জিতে বাংলাদেশ।
জিম্বাবুয়ের হয়ে এদিন ব্যাট হাতে ধ্বংসলীলায় নেতৃত্ব দিয়েছেন মাধেভেরে। আগের ম্যাচে ফিফটির স্বাদ পাওয়া এই ব্যাটসম্যান এ ম্যাচেও খেলেছেন পঞ্চাশ ঊর্ধ্ব ইনিংস। তার ৩৬ বলে ৫৪ রানের ইনিংসের সঙ্গে চাকাভার ২২ বলে ৪৮ ও বার্লের ১৫ বলে ৩৫ রানের ওপর ভর করে ১৯৩ রানের বিশাল সংগ্রহ পেয়েছে জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের হয়ে সৌম্য সরকার ২টি এবং সাকিব আল হাসান ও মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ১টি করে উইকেট নেন।