জাপানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে গেলেন দেশের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী তথা শাসক দল এলডিপি-র প্রবীণ নেতা ফুমিয়ো কিশিদা। প্রতিদ্বন্দ্বী তারো কোনো আপেক্ষিক ভাবে জনপ্রিয়তায় তাঁর চেয়ে এগিয়ে থাকলেও অল্প ব্যবধানে তাঁকে পিছনে ফেলে বুধবার এই জয় ছিনিয়ে নেন কিশিদাই।
আজকের জয়ের পর সুগা-র উত্তরাধিকারী হিসেবে ৬৪ বছর বয়শি কিশিদার অভিষেক এক প্রকার নিশ্চিত বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। আগামী সাধারণ নির্বাচনে এলডিপি-র হয়ে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য লড়বেন কিশিদা।
বছর খানেক দায়িত্বে থাকার পর সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ইচ্ছে প্রকাশ করেন দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা।
উল্লেখ্য, গত বছরের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে সুগা-র কাছে হেরে গিয়েছিলেন কিশিদা। তবে এ বার পদে এলে তাঁর সামনে বড় চ্যালেঞ্জ অতিমারির জেরে ধুঁকতে থাকা দেশের অর্থনীতির শক্ত হাতে হাল ধরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে বেশ কয়েকটি প্যাকেজের প্রতিশ্রুতি ইতিমধ্যেই দিয়েছেন কিশিদা।
যার মধ্যে অন্যতম, দ্রুত হারে জনগণের টিকাকরণের কাজ শেষ করা। তাঁর মতে, এমনটা করা গেলে আরও বেশি সংখ্যক মানুষ দ্রুত কাজে ফিরবেন। ফলে হাল ফিরবে অর্থনীতিরও।
জনগণের একটা বিরাট অংশের আপত্তি উপেক্ষা করে অতিমারি আবহে টোকিয়ো অলিম্পিক্সের আয়োজনে গা ভাসানোর জন্য জনপ্রিয়তা অনেকটাই ধাক্কা খেয়েছে শাসকদল এলডিপি-র। এর সঙ্গে জুড়ে গিয়েছিল অতিমারি পরিস্থিতির মোকাবিলায় বর্তমান সরকারের ব্যর্থতার অভিযোগ।
এই প্রেক্ষিতে দলকে সামগ্রিক জয় এনে দেওয়ার দায়িত্বও এখন কিশিদার কাঁধেই বলে জানাচ্ছেন সে দেশের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা। তবে পার্লামেন্টে এলডিপি সংখ্যাগুরু। সেই নিরিখে চরম অঘটন না-ঘটলে কিশিদার প্রধানমন্ত্রী পদে উত্তীর্ণ হওয়া স্রেফ সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করছেন বিশেষেজ্ঞরা।