বাড়ি ঘর থেকে উচ্ছেদ করতে না পেরে চাচার দায়ের করা মিথ্যা মামলায় ঘরছাড়া ভাতিজি ও ভাতিজি জামাতা।
সরেজমিনে আজ শুক্রবার (৮ অক্টোবর) গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার উত্তর ধুমাইটারী গ্রামে গিয়ে জানা যায় এই ঘটনা।
ঘটনার বিবরনে জানাযায়, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার উত্তর ধুমাইটারি গ্রামের দুদু মিয়া তার স্ত্রী ও এক নাবালক সন্তানকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রীর নামে কেনা জমিতে বাড়ি করে বসবাস করে আসছেন।
এদিকে উক্ত বাড়ি হতে উচ্ছেদ করার জন্য দুদু মিয়ার স্ত্রী লাকি বেগমের আপন চাচা আব্দুর রহমান ও আবুল হোসেন দীর্ঘদিন থেকে অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে। কোন ভাবেই নিজ ভাতিজি ও ভাতিজি জামাতাকে উচ্ছেদ করতে না পেরে চলতি বছরের ১২ আগষ্ট ও ২৩ আগষ্ট গাইবান্ধা কোর্টে এবং ০২ অক্টোবর সুন্দরগঞ্জ থানায় তিনটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। মামলা নং যথাক্রমে সি.আর ২৮০/২০২১ (কোর্টে দায়েরকৃত),পিটিশন ৩০৪ ধারা১০৭/১১৭ (সি) কোর্টে চলমান রয়েছে,জি.আর ৩/৩২৭ (থানায় দায়েরকৃত)।
যে মামলা গুলোতে লাকি বেগম ছাড়াও তার ভাই ব্যাংক কর্মকর্তা, তার ভাবি স্কুল শিক্ষীকা, ছোট বোন পোষ্ট অফিস কর্মচারী, ছোট ভাই সহ ১১ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করে।
এই মামলা বা ঘটনার সময় তারা ঘটনাস্থলে না থাকলেও তাদের চাকুরী ক্ষতি সাধনের লক্ষে তাদেরকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এদিকে মিথ্যা মামলা থেকে জামিন নিয়ে লাকি বেগম বাড়ীতে গিয়ে আশ্রয় নিলেও তার স্বামী দুদু মিয়া একদিন বাড়িতে গেলে তাকে মৃত্যু ভয় দেখিয়ে বাড়ি ছাড়া করেছে তার চাচা শশুররা।
প্রতিবেদকের উপস্থিতি ভুক্তভোগী লাকি বেগম কান্নায় জর্জরিত কন্ঠে বলেন, আমি বাড়িতে আছি এই নাবালক সন্তানকে নিয়ে। কখনযে আমাকে মেরে ফেলবে তা বলতে পারছি না। গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) রাতে আমার চাচা ও চাচাত ভাইয়েরা আমি বাড়িতে না থাকার সুযোগে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে আমার রান্নার চুলা ভেঙ্গে দিয়ে গেছে।
গতকাল থেকে বাড়িতে কোন রান্না হয়নি আজ না খেয়ে আছি। সেই সাথে আমার ভাই অনেকদিন ধরে আমার বাড়িতে না আসলেও সম্প্রতি ছিনতাইয়ের একটি মিথ্যা মামলায় তাকে জড়িয়েছে। কিন্তু মামলায় যেটি ঘটনার তারিখ উল্লেখ করেছে ঐ দিন ও ঐ সময়ে আমার ভাই রংপুরে তার অফিসে ছিল। কিন্তু তাকেও মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দিয়েছে।
এছাড়াও আমার এক বোন গোবিন্দগঞ্জে ও এক ভাই বেলা থাকে তারাও ঘটনার সময় তাদের কাজে থাকলেও তাদের নামও মামলায় জড়িয়ে দিয়েছে। তিনি আরো বলেন আমার চাচাদের লাঠির জোর অনেক যার কারনে আমরা পেরে উঠছি না। আমি আমাদের বিরুদ্ধে দায়েরকরা মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতিসহ সুষ্ঠ বিচারের আশু দাবী করছি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আব্দুর রহমান ও আবুল হোসেনের বক্তব্য নেওয়ার জন্য তাদের বাড়িতে গেলে তারা কেউ বাড়িতে নেই বলে বাড়ির লোকজন জানান। বাড়ির লোকজনের বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করলেও তারাও বক্তব্য দিতে অস্বীকার করে।