ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর হামলায় শিশুসহ ২২৮ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় শনিবার (১৯ মার্চ) কিয়েভ নগর কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করে।
কিয়েভের শহর প্রশাসন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রাশিয়ার এ আগ্রাসনে আহত হয়েছেন আরো অন্তত ৯১২ জন। কিয়েভ কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।
প্রায় মাসখানেকের তীব্র উত্তেজনার পর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া।
হামলা শুরুর পর এক সপ্তাহের মধ্যেই দেশটির বহু শহর ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর’র তথ্য অনুযায়ী, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর প্রাণ বাঁচাতে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে ৩০ লাখেরও বেশি ইউক্রেনীয়।
এরপর প্রথমবারের মতো গতকাল শনিবার দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের একটি অস্ত্রাগারে কিনজাল হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোড়ার কথা ঘোষণা দিয়েই জানিয়েছে মস্কো।
এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, তার দেশের ওপর আক্রমণ করার জন্য ‘প্রজন্মের’ পর প্রজন্ম ধরে মূল্য দিতে হবে রাশিয়াকে।
অন্যদিকে ইউক্রেনে সমরাস্ত্র ও ভাড়াটে সেনা পাঠানোর ব্যাপারে আমেরিকা ও তার পশ্চিমা মিত্রদের হুঁশিয়ার করে দিয়েছে রাশিয়া। দেশটি ইউক্রেন সঙ্কট নিরসনে কূটনৈতিক উদ্যোগ নিতে বিলম্ব করার জন্যও পাশ্চাত্যকে দায়ী করেছে।
রুশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ দুমার চেয়ারম্যান ভিয়েচেস্ল্যাভ ভোলোদিন তার ব্যক্তিগত টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেয়া এক পোস্টে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। ব্রাসেলসে ন্যাটো জোটের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা এক জরুরি বৈঠকে ইউক্রেনের কাছে সমরাস্ত্র পাঠিয়ে যাওয়ার পক্ষে মত দেয়ার পর ভোলোদিন এ হুঁশিয়ারি দেন।