বছরের ঠিক শেষ মুহূর্তে এসে শীর্ষ ধনী খুঁজে পেল এশিয়া। এবার টিকা প্রস্তুতকারী ফার্ম ও বোতলজাত পানির ব্যবসায়ী ঝং শানশান হয়েছেন এশিয়ার শীর্ষ ধনী। এতদিন পর্যন্ত এ জায়গা ছিল ভারতের রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানির দখলে।
ঝং শানশানের মোট সম্পদের পরিমাণ এখন ৭ হাজার ৭৮০ কোটি মার্কিন ডলার। ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার ইনডেক্স অনুযায়ী, ঝং এখন বিশ্বের ১১তম শীর্ষ ধনী।
ঝং বেশি পরিচিত 'লোন উলফ' নামে। ঝংয়ের কর্মজীবন বেশ বৈচিত্র্যময়। সাংবাদিকতা, মাশরুমের চাষ এবং স্বাস্থ্যসেবা খাতে কাজ করেছেন তিনি। এপ্রিলে ঝংয়ের বেইজিং ওয়ান্টাই বায়োলজিকাল ফার্মাসি এন্টারপ্রাইজ চীনা শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে। কেবল আগস্টে ফার্মে তাঁর নিয়ন্ত্রণকারী অংশটির সম্পদ দুই হাজার কোটি ডলার বেড়েছে।
গত এপ্রিলে শানশান টিকা-প্রস্তুতকারক সংস্থা বেইজিং ওয়ানতাই বায়োলজিক্যাল কোম্পানির ভার নেন এবং তা চীনের শেয়ারবাজারেও নথিভুক্ত হয়। এর তিন মাস পর শানশানের বোতলজাত পানি তৈরি কোম্পানি নংফু স্প্রিং হংকংয়ের বাজারে নথিভুক্ত হয়।
নংফু স্প্রিং এর সাফল্যে গত সেপ্টেম্বরেই ই-কমার্স কোম্পানি আলিবাবার কর্ণধার জ্যাক মা’কে ছাড়িয়ে চীনের শীর্ষ ধনীর তকমা পেয়েছিলেন ব্যবসায়ী চোং শানশান।
তখন থেকেই নংফু স্প্রিংয়ের শেয়ার আরও লাফিয়ে বেড়েছে। আর সেইসঙ্গে যোগ হয়েছে বেইজিং ওয়ানতাই বায়োলোজিক্যাল কোম্পানির বাড়তি শেয়ার। কোভিড-১৯ টিকার তৈরি কোম্পানিগুলোর মধ্যে আছে এ কোম্পানিও।
দু’য়ে মিলেই মূলত ঝোং শানশানের সম্পদ অভাবনীয়রকম বেড়ে তিনি উঠে এসেছেন এশিয়ার শীর্ষ ধনীর স্থানে।
চীনে সাধারণত প্রযুক্তিশিল্পে জড়িতরাই নতুন শীর্ষ ধনীর তকমা পান। গত ছয় বছর ধরে এই তকমা পেয়ে এসেছন জ্যাক মা।
কিন্তু হুয়াওয়ে, টিকটক এবং উইচ্যাট নিয়ে সম্প্রতি চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাড়তে থাকা উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে চীনের প্রযুক্তি শেয়ারের মূল্য পড়ে যাওয়ায় জ্যাক মা’র অবনমন ঘটেছে।
অন্যদিকে, করোনাভাইরাস মহামারীর এই সময়ে ভারতের ব্যবসায়ী মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শেয়ার পড়ে যাওয়ায় এশিয়ার শীর্ষ ধনীর আসন থেকে ছিটকে গেছেন তিনিও।