জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খানকে বাংলাদেশের শুভেচ্ছাদূত হিসাবে ঘোষণা করেছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা। এই প্রথম কোনও বাংলাদেশিকে দূত হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে আন্তর্জাতিক সংস্থাটি। আগামী ২ বছর এই দায়িত্ব পালন করবেন তাহসান।
শনিবার ইউএনএইচসিআরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারাবিশ্বে ইউএনএইচসিআরের ৩২ জন শুভেচ্ছা দূত আছেন, যারা তাদের জনপ্রিয়তা, নিষ্ঠা ও কাজের মাধ্যমে শরণার্থীদের পরিস্থিতি ও ইউএনএইচসিআরের কাজ সবার সামনে তুলে ধরেন।
২০১৯ সাল থেকে তাহসান শরণার্থীদের কথা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে ইউএনএইচসিআরের সঙ্গে কাজ করে চলেছেন। তিনি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেছেন এবং বিশ্ব শরণার্থী দিবস ও ইউএনএইচসিআরের অন্যান্য অনুষ্ঠানে যুক্ত থেকে সহায়তা করছেন। এসব কাজের মাধ্যমে তাহসান কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য মানবিক কার্যক্রম সামনা-সামনি দেখেছেন, কথা বলেছেন শরণার্থীদের সঙ্গে, আর বাস্তুচ্যুতির মূল কারণগুলো সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানতে পেরেছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এ প্রসঙ্গে তাহসান বলেন, "জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমি সম্মানিত ও গর্বিত। ইউএনএইচসিআর সারা বিশ্বের শরণার্থী ও বাস্তুচ্যুতদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে, জীবন-রক্ষাকারী সহায়তা দেয়, আর সংকট সমাধানের উদ্দেশ্যে কাজ করে। পৃথিবীর এক শতাংশেরও বেশি মানুষ (প্রতি ৯৭ জনে ১ জন) আজ সংঘাত ও নির্যাতনের কারণে বাস্তুচ্যুত। ভাগ্যবান ৯৯ শতাংশ মানুষের একজন হিসেবে শরণার্থীদের হয়ে কথা বলা আমার মানবিক দায়িত্ব।"