গত বছরের ৮ মার্চ বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। করোনা সংক্রমণের বর্ষপূর্তি আজ। সরকারি হিসাবে এই এক বছরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে গড়ে দৈনিক ২৩ জন মারা গেছে।
এক বছরের মাথায় শনাক্ত রোগীর সংখ্যা সাড়ে ৫ লাখ ছাড়িয়ে গেল। গতকাল রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৬০৬ রোগী শনাক্ত হয়েছে দেশে; তাতে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা পৌঁছেছে ৫ লাখ ৫০ হাজার ৩৩০ জনে। আর গত এক দিনে এ ভাইরাসে আরো ১১ জনের মৃত্যু হওয়ায় মৃতের মোট সংখ্যা পৌঁছছে ৮ হাজার ৪৬২ জনে।
করোনায় গত এক বছরে আমরা হারিয়েছি বিশিষ্ট ব্যক্তি, মন্ত্রিসভার সাবেক সদস্য, সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ, শিক্ষক, চিকিৎসক, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য, পুলিশ সদস্য, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, নার্সসহ বিভিন্ন পেশাজীবীকে।
বিশ্বের ২০০ টির কাছাকাছি দেশে ১১৭ মিলিয়নের বেশি মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে, মারা গেছেন ২৬ লাখের উপরে।
দেশে করোনার সংক্রমণ শুরুর দিকে রোগী শনাক্তের হার কম ছিল। গত বছরের মে মাসের মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত রোগী শনাক্তের হার ছিল ২০ শতাংশেরও উপরে। এরপর থেকে নতুন রোগীর পাশাপাশি শনাক্তের হারও কমতে শুরু করেছিল।
মাস দুয়েক সংক্রমণ নিম্নমুখী থাকার পর গত নভেম্বরের শুরুর দিক থেকে নতুন রোগী ও শনাক্তের হারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হয়। ডিসেম্বর থেকে সংক্রমণ আবার কমতে শুরু করে। তবে গত তিন সপ্তাহ ধরে সংক্রমণ আবার কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী।
গত মাসের শেষ দিকে, ২৮ ফেব্রুয়ারি দেশে দৈনিক করোনা শনাক্তের হার ছিল ২.৮৭ শতাংশ। কিন্তু এই মাসের শুরু থেকে আবারও দৈনিক শনাক্তের হার ঊর্ধ্বমুখী। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৩০ শতাংশ।
দেশে সংক্রমণের ১১ মাস পর ৭ ফেব্রুয়ারী শুরু হয় টিকাদান কর্মসূচী। এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চ্যুয়ালি রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ওই দিন ২১ জনকে করোনার টিকা দেওয়া হয়। এখন পর্যন্ত টিকা নিলেন প্রায় ৩৮ লাখ মানুষ। কিন্তু সামর্থ্যের চেয়ে নিবন্ধন কম।