বেশ কয়েকদিনের অতিবৃষ্টি ও উজানের ঢলে ফের দেশের কয়েকটি নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। ফলে কয়েকটি জেলার নিম্নাঞ্চল পানিতে প্লাবিত হয়েছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য মতে, তাদের পর্যবেক্ষণে থাকা ১০১টি স্টেশনের মধ্যে পানি বেড়েছে ৪৮টির এবং কমেছে ৫৩টির। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ধরলা, তিস্তা, দুধকুমার এবং আপার মেঘনা অববাহিকার সব নদ-নদীর পানি সমতল থেকে বাড়ার শঙ্কা রয়েছে বলেও জানান তারা। আবহাওয়া অফিস আরো বলছে, লঘুচাপ ও মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় গতকালের ধারাবাহিকতায় আজও সারা দেশে বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও মাঝারি, কোথাও ভারি বর্ষণ হতে পারে।
উত্তরাঞ্চলের জেলা নীলফামারীতে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় ডিমলার নদীবেষ্টিত পূর্বছাতনাই, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশাচাপানী, ঝুনাগাছচাপানী ও পশ্চিমছাতনাই ইউনিয়নের ১৫ গ্রামের পাঁচ হাজার পরিবার বন্যার ঝুঁকিতে পড়েছে।
রংপুরে ভারি বর্ষণে নগরীর বিভিন্ন সড়কে ও পাড়া-মহল্লায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। গতকাল রংপুরে ১১২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। আর উজান থেকে আসা ঢলে রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তার চরাঞ্চলে ফের বন্যা দেখা দিয়েছে। ডুবে গেছে নতুন করে রোপণ করা আমনের ক্ষেত। এ ছাড়া ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করায় গত এক সপ্তাহে শতাধিক ঘরবাড়িসহ নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে ঈদগাহ মাঠ, মন্দির ও একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।