বসন্ত যখন শেষ, ফুল তখন শেষ। এই ধারণা বারবার ভুল প্রমান করে এই সোনালু ফুল। এই ফুল বৈশাখের ফলের সাথে তাল মিলিয়ে ফোটে। দেখতে কিশোরীর কানের দুলের মতো লম্বা হয়ে ঝুলিয়ে থাকে। রঙে হলুদ।বড় বড় থোকায় থোকায় ধরে থাকে আমাদের দেশে। গীস্মের খড় তাপে সজীবতা নিয়ে আসে এই সোনালু ফুল। বাতাসের তালে তালে কানের দুলের মত দুলতে থাকে এই ফুল। গীস্মের রৌদ্রের তাপ যত বেশি, এই ফুলের সৌন্দর্য তত বেশি। যে কোন ক্লান্ত পথিকের নজর কাড়ে এই ফুল। এই ফুলের ব্যাপারে ইতিহাস থেকে জানা যায়, এর আদি নিবাস পূর্ব এশিয়া। তবে হাজার বছর থেকে ভারতীয় উপমহাদেশে পাওয়া যায়। কবি কালিদাসের 'মেঘদূত ' এ এই ফুলের গুণকীর্তন করা হয়েছে। দেখতে গাছটি একেবারে ছোট নয়। মোটামুটি মাঝারি আকারে হলেই ফুল দেওয়া শুরু করে। পাতা গোল আকৃতির পূর্ণ সবুজ।ফুল থেকে ফলটি এক ফিটের লম্বা একটি চিকন লাঠির মত দেখায়। এই ফুল ও ফল বানরের প্রিয় খাদ্য হিসেবে বেশ পরিচিত। তাই লাঠিগুলো কে বানরের লাঠি বলা হয়। এই গাছের কাঠ বেশ মজবুত। এই কাঠ দিয়ে ফার্ণিচার বানানো যায়। ফুল ছাড়া যেভাবে এই গাছ থেকে চোখ সরানো যায়,ঠিক একইভাবে ফুল থাকাবস্থায় চোখ সরানো বড়ই কঠিন। এই অদ্ভুত সুন্দর গাছটি দিন দিন কমে যাচ্ছে আমাদের দেশে।এই সুন্দর ফুল গাছকে রক্ষা করা আমদের দায়িত্ব। সামনে বর্ষা কালে আমরা এই ফুল গাছ একটি করে লাগাতে পারলে হলুদে ভরে যাবে আমাদের দেশ।