সহকর্মী তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে গালিগালাজ ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ এনে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (ইএসই) বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক আশরাফ আলী সিদ্দিকী।
অভিযুক্তরা হলেন- মো. নকিবুল হাসান খান, মো, রকিবুল হাসান ও মো. আলিম মিয়া। তিনজনই এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (ইএসই) বিভাগের সহকারী অধ্যাপক।
বুধবার (২৯ জুন) ময়মনসিংহের ত্রিশাল থানায় তার সাধারণ ডায়েরি জমা নিয়ে মো. আ. আজিজকে তদন্ত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জিডি নং ১২৫৬।
সাধারণ ডায়েরিতে অধ্যাপক আশরাফ উল্লেখ করেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পরামর্শ অনুযায়ী গত ১৩ জুন সকাল অনুমান সাড়ে ৯ টার সময় পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (ইএসই) বিভাগ ভবনের ৩য় তলার আমার অফিস কক্ষে পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (ইএসই) বিভাগের নাম পরিবর্তন করা যায় কিনা মর্মে এজেন্ডা নিয়ে মো. নকিবুল হাসান খান, মো. রকিবুল হাসান ও মো. আলিম মিয়ার সাথে পরামর্শ করার সময় আমার সাথে তাদের মতবিরোধের সৃষ্টি হয়।
একপর্যায়ে তারা উত্তেজিত হয়ে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ও বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। ঘটনাটি তখন আমার অফিস কক্ষের আশেপাশে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (ইএসই) বিভাগে কর্মরত ষ্টাফরা দেখেন ও শুনেন। তারা যেকোন সময় আমার ও আমার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সামাজিক মান মর্যাদা ক্ষুণ্ন করা সহ জানমালের ক্ষয়ক্ষতি করতে পারে।
এ বিষয়ে জানতে চেয়ে মুঠোফোনে কল করা হয় মো. নকিবুল হাসান খানকে৷ তিনি সাংবাদিক নাম শুনেই কল কেটে দেন। অন্যদিকে, মো. রকিবুল হাসান কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। আর মো. আলিম মিয়া যাত্রাপথে আছেন জানিয়ে কল কেটে দেন।
থানায় সাধারণ ডায়েরি করার আগে নিজের নিরাপত্তা চেয়ে প্রথমে প্রক্টরের কাছে ও পরে বিচার দাবি করে রেজিস্ট্রারের কাছে লিখিত আবেদন করেছিলেন অধ্যাপক আশরাফ আলী সিদ্দিকী।
পূর্বের দুই লিখিত আবেদনের বিষয়ে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমার আবেদনের বিষয়ে তদন্ত মূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যাতে আমার বড় দুর্ঘটনা না হয় সেজন্যে থানায় জিডি করেছি।