ডা. মো: এনামুর রহমান
বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’। ঘূণিঝড়টি আজ (মঙ্গলবার) রাত ১০টা থেকে আগামীকাল (বুধবার) কাল ১০টার মধ্যে উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম করতে পারে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো: এনামুর রহমান।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় নিম্নচাপ/ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হওয়ায় প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম গ্রহণের লক্ষ্যে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) বাস্তবায়ন বোর্ডের এ জরুরি সভা ডাকা হয়।
এ সময় এনামুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় হামুনের ক্ষেত্রে ১০টি জেলাকে আমরা ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে মনে করছি। আজ রাত ৮টার মধ্যে দুর্গত এলাকার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি।
তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড়টি আজ রাত ১০টা থেকে আগামীকাল সকাল ১০টার মধ্যে উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম করবে।
ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী জানান, ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব থেকে রক্ষা করতে ১০টি জেলার ১৫ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে মন্ত্রণালয়।
এদিকে বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৫ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে ভারী (৪৪-৮৮ মিমি) থেকে অতি ভারী (২৮৯ মিমি) বর্ষণ হতে পারে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, পায়রা ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরসমূহকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারী সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারী সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারী সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, ভোলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।