ঢাকা   বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৮ ভাদ্র ১৪৩১, ০৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছে হাসিনা, আসছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার

জাতীয়

বিডিটোন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৯:৩৬, ৫ আগস্ট ২০২৪

আপডেট: ১৯:৩৭, ৫ আগস্ট ২০২৪

পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছে হাসিনা, আসছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার

পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছে শেখ হাসিনা, আসছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন। তিনি ইতোমধ্যে সপরিবারে দেশ থেকেও পালিয়ে গেছেন।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ত্যাগ করেছেন। সাথে তার বোন শেখ রেহানাসহ পরিবারের সদস্যরা রয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

বিবিসির খবরে বলা হয়, শেখ হাসিনাকে বহনকারী একটি হেলিকপ্টার ভারতের আগরতলার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছেন, শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ একজন ব্যক্তি এএফপিকে এই তথ্য জানিয়েছে।

'তিনি এবং তার বোন গণভবন ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছেন। তিনি একটি বক্তব্য রেকর্ড করতে চের্য়েছিলেন, তবে তাকে সেই সুযোগ দেয়া হয়নি,' ওই কর্মকর্তা এএফপিকে জানিয়েছেন।

রয়টার্স জানিয়েছে, সামরিক একটি হেলিকপ্টারে করে শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের সদস্যরা ভারতের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান আজ দেশবাসীর উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে বলেছেন, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করায় দেশ পরিচালনার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে।

আজ বিকেলে সেনা সদর দপ্তরে বিভিন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি বলেন, ‘আমরা চমৎকার আলোচনা করেছি। আমরা একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

সেনা প্রধান বলেন, ‘দেশের সকল কার্যক্রম এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দ্বারা পরিচালিত হবে।’

ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ‘আমরা এখন মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে যাব, যেখানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের বিষয়ে আলোচনা করব যার মাধ্যমে দেশ পরিচালিত হবে।’

‘দয়া করে, সেনাবাহিনী এবং সশস্ত্র বাহিনীর উপর আস্থা রাখুন। আমি সমস্ত দায়িত্ব নিচ্ছি এবং জনগণের জানমাল রক্ষার অঙ্গীকার করছি। আপনারা আশা হারাবেন না। আমরা আপনাদের প্রতিটি দাবি পূরণ করব এবং শান্তি ও আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনবো, ইনশাআল্লাহ,’ তিনি বলেন।

সেনাপ্রধান সশস্ত্র বাহিনীকে সহযোগিতা করার এবং ভাঙচুর, হত্যা ও সংঘর্ষ থেকে বিরত থাকার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।

রাজনৈতিক দল, গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের সদস্যসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করে তিনি বলেন, ‘দয়া করে আমাকে সহযোগিতা করুন। সংঘর্ষের পথ ধরে আমরা এর বেশি কিছু অর্জন করতে পারিনি। তাই, দয়া করে সকল প্রকার ধ্বংস, নৈরাজ্য এবং দ্বন্দ্ব থেকে বিরত থাকুন। ইনশাআল্লাহ, আমরা একটি সুন্দর ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাব।’

ওয়াকার-উজ-জামান জনগণকে ধৈর্য ধরতে এবং সঙ্কট নিরসনে কিছু দেওয়ার আহ্বান জানান।

‘দয়া করে, সংঘর্ষের পথে না গিয়ে শান্তি ও শৃঙ্খলার পথে ফিরে আসুন,’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের অনেক ক্ষতি হয়েছে, অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, বহু মানুষ নিহত হয়েছে।

কারফিউ অব্যাহত থাকবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সেনাপ্রধান বলেন, পরিস্থিতির উন্নতি হলে কোনো কারফিউ বা জরুরি অবস্থার প্রয়োজন নেই।

তিনি বলেন, ‘আমি সেনাবাহিনী ও পুলিশ কর্মীদের গুলি না চালানোর নির্দেশ দিচ্ছি। আমি আশা করি, আমার ভাষণের পর পরিস্থিতির উন্নতি হবে, কারণ, আমরা একটি সুন্দর পরিবেশের দিকে অগ্রসর হচ্ছি।’