ঢাকা   বুধবার ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১, ২২ রজব ১৪৪৬

শাহবাগ মোড় অবরোধ ম্যাটস শিক্ষার্থীদের

শাহবাগ মোড় অবরোধ ম্যাটস শিক্ষার্থীদের

শাহবাগ মোড় অবরোধ ম্যাটস শিক্ষার্থীদের

অসংগতিমূলক কোর্স কারিকুলাম সংশোধন ও অনতিবিলম্বে ১০ম গ্রেডে শূন্যপদে নিয়োগের দাবিসহ চার দফা দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছে মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস)-এর শিক্ষার্থীরা।

বুধবার দুপুরে ‘সাধারণ ম্যাটস শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদ’-এর ব্যানারে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ম্যাটস-এর শিক্ষার্থীরা এই মোড় অবরোধ করেন।

এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় শাহবাগ জাদুঘরের সামনে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। সেসময় সরকারকে এক ঘণ্টার সময় বেঁধে দেন তারা। নির্ধারিত সময়ে মধ্যে কোনো আশ্বাস না পেলে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে ‘সাধারণ ম্যাটস শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদ’-এর কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আহমাদুল্লাহ মানসুর বলেন, আমরা আমাদের দাবিগুলো নিয়ে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এক ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছিলাম। নির্ধারিত সময়ে তারা আমাদের দাবি মেনে নেয়নি বা আমাদের সাথে যোগাযোগও করেনি। তাই আমরা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়েছি। দাবি মানা না হলে অবরোধ কর্মসূচি চলমান থাকবে।

তিনি বলেন, আমাদের ম্যাটসে নিয়োগ প্রক্রিয়া অনেকদিন যাবৎ আটকিয়ে রাখা হয়েছে। এতে অনেকেই পড়াশোনা করেও চাকরি পাচ্ছে না।

কুমিল্লা সরকারি ম্যাটসের শিক্ষার্থী হাসান বলেন, আমাদের এই দাবিগুলো অনেক আগের। আমাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া গত ১২ বছর ধরে আটকে আছে। এটা নিয়ে ২০১৭, ২০২৩ ও ২০২৪ সালেও আন্দোলন হয়েছিল, কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।

তিনি বলেন, আমাদের সেক্টর থেকে প্রাইভেট ও সরকারিতে কোনো চাকরিই নাই। স্বাস্থ্য খাতে ম্যাটসের থেকে মানুষ থাকার কথা থাকলেও দুর্ভাগ্যবশত তা নাই। শুধু তাই নয়, প্রতিটা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সাব অ্যাসিসেন্ট মেডিকেল অফিসার (এসএসিএমও) পদ থাকলেও নিয়োগ বন্ধ আছে। আমরা মূলত সেই গলদগুলো দূর করার দাবি জানাতে এখানে সমবেত হয়েছি।

শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবি হলো- ১০ম গ্রেডে শূন্যপদে নিয়োগ, সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে নতুন পদে কর্মসংস্থান সৃষ্টি; অনতিবিলম্বে ৪ বছরের একাডেমিক কোর্স বহাল রেখে অসংগতিমূলক কোর্স কারিকুলাম সংশোধন ও ভাতাসহ এক বছর ইন্টার্নশীপ চালু; প্রস্তাবিত-এলাইড-হেলথ প্রফেশনাল বোর্ড-বাতিল করে স্বতন্ত্র ‘মেডিকেল এডুকেশন বোর্ড অব বাংলাদেশ’ নামে বোর্ড চালু করা; আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ও বিএমএন্ডডিসি স্বীকৃত ক্লিনিক্যাল বিষয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ তৈরি।