বিদেশে উচ্চ শিক্ষার জন্য আইইএলটিএস একটি অতীব জরুরি পরীক্ষা। সাধারণত বাহিরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো উচ্চ শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করে থাকে। তাই একজন ছাত্র/ছাত্রীকে ইংরেজি ভাষার দক্ষতা নির্বাচনে আইইএলটিএস পরীক্ষা অংশগ্রহণ করতে হয়। বাংলাদেশে ব্রিটিশ কাউন্সিল ও আইডিপি এই দুটি প্রতিষ্ঠান মূলত আইইএলটিএস পরীক্ষা নিয়ে থাকে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাদের পরীক্ষা কেন্দ্র রয়েছে।
আইইএলটিএস পরীক্ষাকে সামনে রেখে দীর্ঘদিন থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন নামে কোচিং সেন্টার বা প্রাইভেট সেন্টার গড়ে উঠেছে। এই সমস্ত প্রতিষ্ঠান আইইএলটিএস এ ভালো স্কোরের প্রতিশ্রুতি দিয়ে উচ্চ কোর্স ফি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ছাত্র/ছাত্রীদের সাথে প্রতারণা করে আসছে। বিজ্ঞাপনের জন্য কোচিং সেন্টারগুলো সেভেন প্লাস এর গ্যারান্টি দিয়ে ছাত্র/ছাত্রী ভর্তি করে থাকে এমনকি যে সমস্ত স্টুডেন্ট পরীক্ষায় ভালো স্কোর অর্জন করতে সামর্থ্য হয় তাদের সাক্ষাৎকার নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা চালায়।
প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিনিধি নিয়োগ করে ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপে ছাত্র ভর্তির বিজ্ঞাপন দেয় বা মিথ্যা রিভিউ, এমনকি মিথ্যা আইইএলটিএস স্কোর কার্ড শেয়ার করে ছাত্র/ছাত্রীদেরকে আকৃষ্ট করে থাকে। ঢাকার একটি নামকরা আইইএলটিএস কোচিং এর ছাত্রের সাথে কথা বলে জানা যায়, বেশির ভাগ ছাত্র/ছাত্রী ভর্তির পর ক্লাস করতে অনীহা প্রকাশ করে কিন্তু পরীক্ষার ফি ফেরতের দাবি করলে কোচিংগুলো তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে।
সম্প্রতি করোনার কারণে এসমস্ত প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এই সুযোগকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ধরনের অনলাইন আইইএলটিএস প্রিপারেশন কোচিং। যারা ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ফি নির্ধারণ করে থাকেন। তারা ফেসবুককে তাদের বিজ্ঞাপনের মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করে ছাত্র/ছাত্রীকে প্রতারিত করে যাচ্ছেন।
এক গবেষণায় দেখা গেছে, আইইএলটিএস পরীক্ষার জন্য আমাদের দেশের ছাত্র/ছাত্রীরা অন্য দেশের তুলনায় কোচিংকে বেশী প্রাধান্য দেয় এবং তাদের ধারণা কোচিং ছাড়া আইইএলটিএস এর ভাল স্কোর অর্জন অসম্ভব।
বাংলাদেশের একটি বড় ফেসবুক গ্রুপ "IELTS preparation @Bangladesh" এর এডমিনের মতে, কোন ছাত্র/ছাত্রী যদি ইন্টারনেট রিসোর্স এবং কিছু বই ভালোভাবে ফলো করে তাহলে কোচিং ছাড়াই খুব সহজেই ভালো স্কোর করতে পারবে। কোচিং সেন্টারগুলো মূলত দিকনির্দেশনা দেয়, যেগুলো ইউটিউব বা বই অনুযায়ী পড়াশুনা করলে ভালভাবে রপ্ত করা যায়। তাই তিনি দেশের ছাত্র/ছাত্রী বা জবের জন্য যারা আইইএলটিএস পরীক্ষা দিবেন তাদেরকে বাসায় বসে প্রিপারেশন নেয়ার পরামর্শ দেন।