ঢাকা   রোববার ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আল্লাহর নৈকট্য লাভে রমজানের ইবাদত

ধর্ম

প্রকাশিত: ১৬:৪৫, ৩ এপ্রিল ২০২২

আপডেট: ১৬:৪৫, ৩ এপ্রিল ২০২২

আল্লাহর নৈকট্য লাভে রমজানের ইবাদত

আত্মসংযম ও ত্যাগ তিতিক্ষার আহ্বান নিয়ে দীর্ঘ এক বছরের ব্যবধানে আবারও ফিরে এসেছে অপার রহমতের মাস রমযানুল মুবারক।  মাহে রমযান আল্লাহ্ তাআলার নৈকট্য ও সন্তুষ্টি লাভে ধন্য হবার এক সুবর্ণ সুযোগ এনে দেয়। রহমতের মাস, মাগফিরাতের মাস এবং দোযখ থেকে পরিত্রাণ লাভের মাস মাহে রমযানুল মুবারক আজ আমাদের মাঝে সমাগত।  প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমান নর-নারীর ওপর মাহে রমজানের রোজা পালন ফরজ। মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘হে মুমিনরা তোমাদের প্রতি আমি মাহে রমজানের রোজাকে ফরজ করেছি যেমন ফরজ করেছিলাম তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মতদের প্রতি। এতে আশা করা যায় যে, তোমরা তাকওয়া বা খোদাভীতি অর্জন করতে পারবে।’ (সুরা বাকারা : আয়াত-১৮৩)। অন্যত্র বলা হয়েছে, ‘অবশ্যই আমি এ কোরআনকে লাইলাতুল কদরে নাজিল করেছি। আপনি জানেন লাইলাতুল কদর কী? তা হচ্ছে এমন রাত যা হাজার মাস থেকে উত্তম।’ (সুরা কদর আয়াত ১-৩) মানুষের জীবনের সার্বিক সফলতা ও বিভিন্ন মানবিক গুণাবলী বিকাশের জন্য সংযম ও আত্মনিয়ন্ত্রণ একান্ত প্রয়োজন। ব্যক্তিত্ব গঠনেও সংযমের গুরুত্ব অপরিসীম। যে ব্যক্তি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না, যার মধ্যে সংযম অবলম্বনের শক্তি নেই, তার মধ্যে কোন বলিষ্ঠ ব্যক্তিত্ববোধ সৃষ্টি হতে পারে না। ব্যক্তিত্বের যথার্থ বিকাশের জন্যে নিজের প্রবৃত্তি ও আবেগসমূহকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা অর্জন করা অপরিহার্য। সিয়াম সাধনার মাধ্যমে একজন মানুষের মধ্যে সংযম ও আত্মনিয়ন্ত্রণের গুণাবলী সৃষ্টি হয়। নিজের প্রবৃত্তির উপর বিবেক ও ইচ্ছাশক্তির প্রাধান্য স্থাপিত হয়। বান্দা জেনে না জেনে অসংখ্য গুনাহ করে থাকে, আল্লাহ তায়ালা রোজার মাধ্যমে বান্দাকে ক্ষমা করে দেন। হযরত আবু হুরায়রা [রা.] থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে এবং সাওয়াব লাভের আশায় রোজা পালন করে, তার পূর্ববর্তী গুনাহগুলো মাফ করে দেয়া হয়। (সহিহ মুসলিম : ২০১৪) রমজান মাসের রোজার এমন গুরুত্বপূর্ণ যে সারা জীবন রোজা রাখলেও তার একটির সমান মর্যাদা হবে না। হজরত আবু হুরায়রা [রা'] থেকে বণিত আছে, যে ব্যক্তি ওজর এবং রোগ ব্যতীত রমজানের একটি রোজা ভেঙ্গে ফেলল, তার সারা জীবনের রোজা দ্বারাও এর কাজা আদায় হবে না। যদিও সে সারা জীবন রোজা রাখে। (সহিহ বুখারি : ১৮১১)