ঢাকা   বুধবার ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১, ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

নামাজ না পড়লে যে শাস্তি

নামাজ না পড়লে যে শাস্তি

নামাজ না পড়লে যে শাস্তি

ইবাদত হিসেবে নামাজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ধনী-গরিব সবার ওপরই ফরজ। 

অন্য দিকে হজ ও জাকাত ফরজ ইবাদত হলেও তা কেবল নির্দষ্ট নেসাব পরিমাণ সম্পদশালীদের ওপর ফরজ। কেয়ামতের দিন সর্ব প্রথম নামাজের হিসাব নেওয়া হবে। আবার এই নামাজকেই বলা হয়েছে, জান্নাতের চাবিকাঠি। যথাযথভাবে নামাজ আদায় ছাড়া জান্নাতে প্রবেশ করা যাবে না। কেউ কোনো ওয়াক্তের নামাজ ছেড়ে দিলে সেটার জন্য শাস্তি ভোগ করতে হবে।

ইমানের পর ইসলামের সবচেয়ে বড় স্তম্ভ হলো নামাজ। বড় বড় মজবুত অট্টালিকা নির্মাণ করতে গেলে যেমন মূল ফাউন্ডেশনের দিকে লক্ষ রাখা অতিজরুরি, তেমনি নিজের দ্বীন ও ইমানকে মজবুত রাখতে হলে নামাজের প্রতি যত্নবান হওয়া আরও বেশি জরুরি। নামাজ এমন গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, যা কখনো ছেড়ে দেওয়ার অবকাশ নেই।

ইমরান ইবনে হুসাইন (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করো। যদি দাঁড়াতে সক্ষম না হও, তাহলে বসে আদায় করো। তাতেও যদি সক্ষম না হও, তবে শুয়ে আদায় করো।’ (সহিহ বুখারি)

নামাজ না পড়া জাহান্নামে যাওয়ার কারণ। আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন, ‘জান্নাতের অধিবাসীরা জাহান্নামিদের জিজ্ঞাসা করবে, কোন জিনিস তোমাদের জাহান্নামে নিক্ষেপ করল? তারা বলবে, আমরা নামাজ আদায় করতাম না।’ (সুরা মুদ্দাসসির ৪২-৪৩)

অন্য আয়াতে বলা হয়েছে, ‘যে আমার স্মরণ (নামাজ) থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, তার জীবিকা হবে সংকীর্ণ এবং আমি তাকে কেয়ামত দিবসে উত্থিত করব অন্ধ অবস্থায়।’ (সুরা তাহা ১২৪)

হজরত রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘একজন মুসলমান আর কাফের-মুশরেকের মধ্যে পার্থক্য হলো নামাজ।’ অর্থাৎ বেনামাজি আর কাফের-মুশরিকের মধ্যে কোনো পার্থক্য থাকে না। (সহিহ মুসলিম)

হজরত রাসুল (সা.) বেনামাজির শাস্তি সম্পর্কে বলেন, ‘জাহান্নামে তাদের মাথা পাথর দ্বারা চূর্ণবিচূর্ণ করা হবে।’ (সহিহ বুখারি ১১৪৩)