দুই নোবেল বিজয়ীর এআই নিয়ন্ত্রণের উপর জোর
পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার বিজয়ী জিওফ্রে হিন্টন এবং রসায়নে নোবেল বিজয়ী ডেমিস হাসাবিস এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) নিয়ন্ত্রনের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।
তাদের পুরস্কার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে এআই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। শনিবার স্টকহোমে এক সংবাদ সম্মেলনে হাসাবিস বলেন, ‘এআই খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রযুক্তি, যা নিয়ন্ত্রন করা প্রয়োজন। তবে নিয়ম কানুনগুলো সঠিকভাবে স্থাপন করা জরুরী , কারন এই মুহুর্তে এটি একটি দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তি।’ স্টকহোম থেকে এএফপি একথা জানায়।
এআই’র মাধ্যমে প্রোটিনের গোপন রহস্য উদঘাটন করে আমেরিকার ডেভিড বেকার এবং জন জাম্পারের সঙ্গে যৌথভাবে জয়ী হাসাবি বলেন, এ ধরনের বিবর্তনের ক্ষিপ্রতা বড় মাপের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘এসব সিস্টেম থেকে সমস্ত মানবিক সুফল প্রাপ্তি নিশ্চিত করে, আমরা কিভাবে কোন উপায়ে ব্যবহার বা স্থাপন করতে চাই- সেটাই এর অন্তর্নিহিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’
‘এআই’র গডফাদার’ হিসেবে বিবেচিত ব্রিটিশ-কানাডিয়ান হিন্টন কিছুটা ভয়ের ইঙ্গিত করেই বলেন, ‘যদি আমি অস্ত্র প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে এআই ব্যবহারের কথা ভাবতাম, তাহলে আগেই নিরাপত্তার কথা মাথায় ঢুকতো। এই হিন্টনই, গত বছর গুগল ছেড়ে যাওয়ার সময় পত্রিকার শিরোনাম তৈরি করে সবাইকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন যে, বিপদের যন্ত্র একদিন মানুষকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। তাকে নোবেল দেওয়া হয়েছিল কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্কে কাজ করার জন্য আমেরিকান জন হপফিল্ডের সঙ্গে।
‘সরকারগুলো যখন মরিয়া হয়ে ওঠে এবং নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করতে নারাজ, তখন সেই অবস্থাটা স্বয়ংক্রিয় মারণাস্ত্রে রূপ নেয় । মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া, ব্রিটেন, ইসরাইলের মতো অস্ত্র সরবরাহকারী সমস্ত প্রধানদের মধ্যে এই প্রতিযোগিতাই চলছে। হাসাবিস বলেছেন, তিনি সরকারগুলোর জন্য ‘দ্রুত এবং ক্ষিপ্রতর নিয়ন্ত্রন’ নিয়ে আসার পরামর্শ দিচ্ছেন। তিনি এএফপি’কে বলেছেন, তিনি ইলন মাস্কের সঙ্গে এআই’র অনুপযুক্ত ব্যবহারের দ্বারা সৃষ্ট অস্তিত্বের হুমকির বিষয়ে আলোচনা করেছেন এবং মানুষের কাছ থেকে এআই নিয়ন্ত্রণ কেড়ে নেওয়ার সম্ভাবনাময় প্রযুক্তির বিষয়েও এই বিলিয়নেয়ারকে ইঙ্গিত দিয়েছেন।
তিনি বলেন, মাস্ক ডোনাল্ড ট্রাম্প জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর ট্রাম্প এবং তার প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।