ঢাকা   মঙ্গলবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তাহসান মিথিলা ক্যাম্পেইন: ইভ্যালির লাভ ক্ষতি

সোশ্যাল মিডিয়া থেকে

প্রকাশিত: ১২:২৬, ১৮ মে ২০২১

আপডেট: ১২:২৭, ১৮ মে ২০২১

তাহসান মিথিলা ক্যাম্পেইন: ইভ্যালির লাভ ক্ষতি

তাহসান মিথিলা ক্যাম্পেইন: ইভ্যালির লাভ ক্ষতি।
গতকালই ধুম ধারাক্কাভাবে ইভ্যালির ঈদ সাইক্লোন হয়ে গেলো। এবং সারপ্রাইজ হিসেবে উপস্থিত ছিলো তাহসান মিথিলা সেটা সবাই জানেন।
আমার দৃষ্টিতে ক্যাম্পেইন সাকসেসফুল নাকি সাকসেসফুল না সেটা বুঝতে তিনটা পার্সপেক্টিভ থেকে দেখা যেতে পারে।
১. মোমেন্টাম ক্রিয়েশন
২. সেল
৩. ইথিক্যাল
১. ক্যাম্পেইনের তিনদিন আগে তাহসান ও মিথিলা যেভাবে মোমেন্টাম ক্রিয়েশনের কাজ করেছে আমার দৃষ্টিতে তারা সফল। মানুষ এটা নিয়ে কথা বলছে, আলোচনা করছে, ওয়েট করছে। মোমেন্টাম ক্রিয়েশনে আরো হেল্প করেছে মিডিয়া গুলো। যেভাবে তারা মিডিয়া কাভারেজ পেয়েছে একটা ক্যাম্পেইনের জন্য হোক পেইড বা নন পেইড, ক্যাম্পেইন সফলতায় অনেক বড় ভূমিকা রেখেছে।
ফলে গতকালই প্রায় এক মিলিয়ন অর্গানিক ভিউ পেয়েছে তাদের এই সারপ্রাইজ প্রোগ্রাম। পঞ্চাশ হাজারের কাছাকাছি মানুষ দেখেছে একসাথে।
অন্য পোস্টে যেখানে নেগেটিভ কমেন্টে ভরপুর হয়ে যায় সেখানে বাজে মন্তব্য ছিলো না বললেই চলে। তাহসান সেটাও টেকনিক্যালি সমাধান করেছে।
যারা ইভ্যালির নাম শুনলে নাক উঁচকায় তারাও ম্যাক্সিমামই একবার হলেও ঢু মেরেছে। অভারঅল ই কমার্স সম্পর্কে যাদের টুকটাক নলেজ আছে তারা ম্যাক্সিমামই ক্যাম্পেইন সম্পর্কে জানতো। প্রোগ্রামের পরও অনেকেই ফেবুতে শেয়ার করেছে তাহসান মিথিলার ছবি বা তাহসানের ক্লিপ।
২. সেল নিয়ে এখনো ইভ্যালি কোনো ঘোষণা দেয় নি। তবে গতকাল উপরস্থ একজন কর্মকর্তার বরাতে প্রাপ্ত সংবাদ অনুযায়ী ১৩০০ কোটি টাকার মত অর্ডার পড়েছে চার ঘণ্টায়। তাদের টার্গেট ৩০০০ কোটি টাকা। (পরে আর খোঁজ নেয়া হয় নি)
বছর দুয়েক আগেও টোটাল ই কমার্সের মার্কেট ভ্যালু ছিলো ৪০০ কোটি টাকার মতো (এখনকার ডাটা পাইনি)। বাট ইভ্যালি একটা ক্যাম্পেইনেই তার আটগুণ সেল নিয়ে আসতে যাচ্ছে। এটা ইভ্যালি তো বটেই ই কমার্সের জন্য অনেক বড় কিছু।
এই বিরাট একটা এমাউন্টের ৫০% ও যদি পেমেন্ট করে তাও একটা কোম্পানি জন্য অনেক বড় ব্যাপার। এই ক্যাম্পেইনে যদি ১৫০০ কোটি টাকাও নিয়ে আসতে পারে তাও ইভ্যালি সফল বলেই মনে করি।
৩. ইথিক্যাল জায়গাটা একটা ব্যবসায়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একজন মানুষের ব্যক্তিগত ইস্যু নিয়ে ব্যবসা করাটা আমার কাছে ভালো মনে হয় নাই।
তবে, দেয়ার ইজ আ সেয়িং, ব্যবসা করতে হলে আপনার ছ্যাচড়া হতে হবে গ্রে ঢাকার এক ভাইয়ের আমার প্রতি উপদেশ ছিলো এটা।
বিক্রি বাট্টা বাড়ানোর জন্য যদি পার্সোনাল স্পেসের জলাঞ্জলি দেয় কেউ আমি যেমন সেটার জাজ করার কেউ না, তেমনি এটা কর্পোরেট প্রাক্টিস শুরু হয়ে গেলে সমাজ কিভাবে গ্রহণ করবে সেটা নিয়েও চিন্তা করার অবকাশ আছে।
ব্র্যান্ডিং, কাস্টমার সার্ভিস ও ডিফেক্ট রেট নিয়ে প্রশ্ন-
আমার কাছে রাসেল সাহেবকে একজন বিজনেসম্যানের চেয়ে মোর অব সেলসম্যানই মনে হয়। একজন বিজনেসম্যান মার্কেটিং, ভ্যালু চেইন ইত্যাদির সবগুলো এরিয়া নিয়ে কাভার করলেও রাসেল সাহেব কেবল সেলসটাকেই বেশি গুরুত্ব দেন।
তার প্রতিটা ক্যাম্পেইন, প্রতিটা ওভিসি সেলস কেন্দ্রিক বলেই মনে হয়েছে আমার। ব্র্যান্ডিংকে তিনি থোরাই কেয়ার করেন। বিজ্ঞরা এটা নিয়ে কথা তুলতেই পারেন যে লং টার্মে সাস্টেইন করা কঠিন হয়ে পড়বে।
তবে আমার দৃষ্টিকোণে রাসেল সাহেবের টিজি আসলে হাই প্রোফাইল বা এলিটরা না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অনলাইনে যারা নতুন কেনাকাটা করছেন তারাই টিজি। মোর অফ মিডল ক্লাস যাদের কাছে মানি ম্যাটার্স।
রাসেল সাহেব ডিফেক্ট রেইট নিয়ে ভাবেন বলে মনে হয় না আমার। কারন তার কাছে আপার ক্লাস বাদে বাদবাকি সবাইই পটেনশিয়াল কাস্টমার। সো দুই চারজন ডিসস্যাটিসফাইড কাস্টমার চলে গেলেই বা কি।
এক কথায় ক্যাম্পেইন নিয়ে বলতে গেলে - মানিটারি ভ্যালুতে সাকসেসফুল কিন্তু ইথিক্যালি প্রশ্নবিদ্ধ।
তবে দিনশেষে "মানি ম্যাটার্স"
[তানসেন রোজ -এর ফেইসবুক থেক]