১০৬ রানেই শেষ বাংলাদেশ
ঘরের চেনা মাঠে যেন অচেনা বাংলাদেশ। কোনোরকমে তিন অঙ্কের ঘর ছুঁয়েছে বটে, তবে ৪০.১ ওভারে ১০৬ রানের বেশি করতে পারেননি মুশফিক-শান্তরা।
সোমবার মিরপুরে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকাকে আতিথ্য দেয় টাইগাররা। এই ম্যাচ দিয়ে নয় বছর পর বাংলাদেশের মাটিতে টেস্ট খেলতে নামে প্রোটিয়ারা।
এদিন টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেব শান্ত। তবে শুরুতেই হোচট খায় টাইগাররা। বুঝে ওঠার আগেই ভাঙন ধরে টপঅর্ডারে। সে ধাক্কা আর সামলে ওঠা হয়নি।
ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেন উইয়ান মুল্ডার। একের পর এক আঘাতে কাঁপিয়ে দেন স্বাগতিকদের। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ভাঙেন উদ্বোধনী জুটি। সাদমান ইসলামকে ফেরান কোনো রান নেয়ার আগেই।
এক ওভার পর মুল্ডার ফেরান মুমিনুল হককেও। ৬ বলে ৪ রান করেন মুমিনুল। ১৩ রানে ২ উইকেট হারিয়ে যখন ধুঁকছে বাংলাদেশ, তখন মাঠে আসেন নাজমুল হোসেন শান্ত। অধিনায়কের ব্যাটে তখন স্বস্তির খুঁজে দল।
তবে হতাশ করেন তিনিও, ষষ্ঠ ওভারে কেশভ মহারাজকে ক্যাচ অনুশীলন করিয়ে ফেরেন ৭ রানে। থিতু হতে পারেননি মুশফিকুর রহিমও। দলের প্রয়োজনে হাল ধরতে ব্যর্থ অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। বিপদ বাড়িয়ে ফেরেন তিনি।
দলীয় ৪০ রানের মাথায় রাবাদার শিকার হন মুশফিক। ফেরার আগে ২০ বলে করেন ১১ রান। এরপর রাবাদা ফেরান লিটন দাসকেও। ছন্দে থাকা এই ব্যাটার ১ রানের বেশি করতে পারেননি।
এদিকে তখনো একপাশ আগলে রেখেছিলেন মাহমুদুল হাসান জয়। রানে গতি না থাকলেও মাঠেই ছিলেন তিনি। তাকে নিয়ে দলীয় সংগ্রহ ৬০ পর্যন্ত পৌঁছান মেহেদী মিরাজ। তবে ১৩ রান করতেই মিরাজকে থামান কেশভ মহারাজ।
৬০ রানে ৬ উইকেট নিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
বিরতি থেকে ফিরলেও বদলায়নি চিত্র। এবার ফেরেন শুরু থেকে একপাশ আগলে রাখা মাহমুদুল হাসান জয়। ৯৭ বলে ৩০ রানে থামেন তিনি।
৩ বল পর ফেরেন জাকের আলিও। মিরপুরে অভিষিক্ত এই ব্যাটার ২ রানের বেশি করতে পারেননি। ৭৬ রানে ৮ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর তাইজুল ও নাইমের ২৬ রানে নবম উইকেট জুটিতে স্কোর তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছায়।
নাইম ৮ ও তাইজুল করেন ১৬ রান। মুল্ডার, রাবাদা ও কেশব মহারাজ তিনজনেই নেন ৩টি করে উইকেট।